আপনি কি নতুন স্মার্ট ফোন কিনেছেন নতুন যখন কিনেছিলেন স্মার্টফোনটি খুব ভালো কাজ করছিল। কিন্তু যতদিন যাচ্ছে ফোনটি ততই স্লো হয়ে যাচ্ছে বা কখনো হ্যাং করছে ল্যাগ করছে। যার ফলে আপনি অতিষ্ঠ হয়ে যাচ্ছেন আপনার ফোনটিকে নিয়ে। ফোনটি ফেলে দিতে ইচ্ছে করছে বা বিক্রি করে দিতে ইচ্ছে করছে। আজকের এই লেখাতে আপনাকে কিছু টিপস দিব যার ফলে আপনার ল্যান্ড হয়ে যাওয়া হ্যাং হয়ে যাওয়া কোনটি আবার নতুনের মতো ভালো ফাস্ট কাজ করবে।
১.RAM ইউজ দেখে নিন।
আপনার ফোন হ্যাং হওয়ার প্রধান কারণ সেটি হল আপনার ফোনের র্যাম বেশি ইউজ হচ্ছে। সবসময় আপনার র্যামটিকে খালি রাখার চেষ্টা করুন এটি আপনার ফোন হ্যাং করা ল্যাগ করা কমাবে। বর্তমান সময়ে আপনি যখন নতুন স্মার্টফোন কিনলেন তখন চেষ্টা করবেন বেশি বেশি র্যাম যুক্ত ভার্সন কেনার। বর্তমান সময়ে ৪ জিবি এর কমে র্যাম যুক্ত ফোন কিনবেন না চেষ্টা করবেন ৬ জিবি বা তার বেশি র্যাম যুক্ত ফোন কেনার। কেননা র্যাম যত বেশি হবে আপনার ফোনটি ততটাই স্মুথ কাজ করবে ।
২. স্টোরেজ খালি রাখুন ।
অনেক সময় ফোন হ্যাং করার কারণ হয়ে থাকে ফোনের স্টোরেজ পুরোপুরি লোড হয়ে যাওয়া। ফোনের স্টোরেজ পুরোপুরি লোড হয়ে গেলে ফোন খুব স্লো কাজ করে। ভাই সব সময় চেষ্টা করতে হবে ফোনের স্টোরেজ যাতে পুরোপুরি ভর্তি না হয়ে যায়।২-৩ জিবি স্টোরেজ যাতে সর্বদাই খালি থাকে সে দিকে নজর রাখতে হবে। আমরা অনেকেই এরকম আছি যারা ফোন পুরোপুরি লোড করে রাখি যার ফলে ফোন স্লো কাজ করে। আর নতুন ফোন কেনার ক্ষেত্রে বেশি স্টোরেজ ও বেশি র্যাম যুক্ত ফোন কেনার চেষ্টা করবেন। যাতে আপনার ফোনটি বেশিদিন ব্যবহার করতে পারেন এবং সেটি স্লো না হয় তাড়াতাড়ি।
৩. ভালো প্রসেসর।
নতুন ফোন কেনার সময় আপনি যদি ভালো প্রসেসর যুক্ত ফোন না কিনে থাকেন, তাহলে ভবিষ্যতে কিন্তু আপনার ফোনটি খুব তাড়াতাড়ি স্লো কাজ করতে পারে। তাই ফোন কেনার সময় সর্বদা ভালো প্রসেসর যুদ্ধের ফোন কিনবেন। কোন প্রসেসর ভালো কোন প্রসেসার খারাপ সেটি আপনি জানার জন্য ফোনটির অন্তুতু স্কোর দেখে নিতে পারেন। বা ইউটিউবে আপনি অনেক ভিডিও পেয়ে যাবেন যেখান থেকে আপনি আপনার বাজেট অনুযায়ী সেরা প্রফেসর যুক্ত ফোন কোনটি হবে জানতে পারবেন।
৪. প্রয়োজনীয় ফাইল ডিলিট করুন।
অনেক সময় এরকম দেখা গিয়েছে আপনার ফোনটি স্লো হওয়ার পেছনে আপনার ফোনে থাকা কিছু অপ্রয়োজনীয় ফাইল দায়ী। তাই আপনি আপনার ফোনটিতে থাকা সমস্ত অপ্রয়োজনীয় ফাইলগুলোকে ডিলিট করে দিন। অপ্রয়োজনীয় ফাইলগুলো আপনার ফোনের স্টোরেজকে অনেকটাই লোড করে দেয়। বা অনেক সময় এরকম দেখা গিয়েছে কোন অপ্রয়োজনে অ্যাপস আপনার ফোনে ইন্সটল হয়ে আছে যেটিকে আপনি কোনোদিন ব্যবহার করেন না। কিন্তু সেটি আপনার ফোনে থাকার কারণে আপনার ফোনের ইন্টারনাল স্টোরেজ লোড হয়ে যাচ্ছে। এই অপ্রয়োজনীয় অ্যাপস গুলি আপনার ফোনের প্রসেসারের ব্যবহার করে যার ফলে ফোনটি স্লো হয়ে যায় ফোন হ্যাং করে ।তাই ফোনটিকে ফাস্ট করার জন্য অবশ্যই অপ্রয়োজনে ফাইল ও অপ্রয়োজনীয় অ্যাপস ডিলিট করে দিন।
৫. এসডি কার্ডে অ্যাপস।
আমরা যখন নতুন কোন অ্যাপস ইনস্টল করি তখন সেই অ্যাপটি বাই ডিফল্ট আমাদের ফোনের ইন্টারনাল স্টোরেজ এ যায়। যার ফলে ফোন হ্যাং করার সম্ভাবনা বেড়ে যায়। তাই চেষ্টা করবেন আপনার ফোনের অ্যাপস গুলোকে এসডি কার্ডে নিয়ে আসার। এর জন্য আপনি প্লে স্টোরে গিয়ে Move To SD Card বলে অনেক অ্যাপস পেয়ে যাবেন।
৬. হেভি অ্যাপস কম ব্যবহার করুন।
আপনার ফোনের র্যাম কম স্টোরেজ কম এবং আপনার প্রসেসরের ক্ষমতাও কম। কিন্তু আপনি ব্যবহার করতে নেই হেভি অ্যাপস যেমন BGMI,FB আরো অনেক হেভি অ্যাপস। সেক্ষেত্রে আপনার ফোনটির হ্যাং করার সম্ভাবনা বেড়ে যায়। সব সময় চেষ্টা করবেন হেভি অ্যাপস ব্যবহার না করার। তার পরিবর্তে সেই অ্যাপস এর লাইট ভার্সন ব্যবহার করতে পারেন। যেমন ফেসবুক লাইট ইনস্টাগ্রাম লাইট মেসেঞ্জার লাইট ও আরো অন্যান্য।
৭. মাল্টিটাস্কিং কম করতে হবে।
আপনার ফোনের র্যাম কম স্টোরেজ কম এবং আপনার প্রসেসরের ক্ষমতাও কম। কিন্তু আপনি অনেকগুলো অ্যাপস একই সময় ব্যবহার করছেন, যার ফলে আপনার ফোনটির Ram বেশি ব্যবহৃত হচ্ছে। এবং ফোনটি হ্যাং হয়ে যাচ্ছে। তাই ফোন মাল্টিটাস্কিং কম করুন।তাহলে আপনার ফোনটি ফাস্ট কাজ করবে।
৮. কখনও থার্ড পার্টি অ্যাপস ব্যবহার করা যাবে না।
অনেক সময় এরকম দেখা যায় যে আমরা কোনো অ্যাপস এর মেন ভার্সন ব্যবহার না করে, লোভনীয় ফিচার দেখে সেই অ্যাপটির ফ্রি এপিকে ভার্সন প্লে স্টোর বাদে অন্য কোন জায়গা থেকে ডাউনলোড করি এবং ইনস্টল করি। প্লে স্টোর বাদে অন্য কোন জায়গা থেকে অ্যাপস ডাউনলোড করা সর্বদাই বিপদজনক।হতে পারে সেটার মাধ্যমে হ্যাকার রা আপনার ফোনে কোনো ভাইরাস দিয়ে দেই যার ফলে আপনার ফোন টি স্লো কাজ করতে পারে । তাই সর্বদা অ্যাপস প্লে স্টোর থেকে ডাউনলোড করতে হবে অন্য কোনো থার্ড পার্টি অ্যাপ্লিকেশন ডাউনলোড করা যাবে না।