নতুন স্মার্টোন কেনা আমাদের সকলেরই স্বপ্ন। ফোন সাধারণত দুই ভাবে কেনা হয়ে থাকে নগদ টাকা পরিশোধ করে আর কিস্তির মাধ্যমে।
আপনি নতুন স্মার্টফোন কিনব ভাবছেন কিন্তু আপনার কাছে এই মুহূর্তে পর্যাপ্ত টাকা নেয়। তখন আপনি কিস্তির মাধ্যমে নতুন ফোন কিনতে পারেন। ব্যাপারটি হল এমন যে আপনি এখন স্মার্টফোন কিনতে চাইছেন কিন্তু স্মার্টফোনটি কিনার জন্য আপনার কাছে তাৎক্ষনিক টাকা না থাকার কারনে কিনতে পারছেন না বা অনেকগুলো টাকা একসাথে খরচ করতে চাচ্ছেন না। তাহলেই এই কিস্তি বা ডাউনপেমেন্ট এর সুবিধাটি আপনার জন্যই। আপনি যেইখান থেকে এই কিস্তি ভিত্তিক পন্যটি কিনবেন সেইখানের নিয়ম অনুসারে আপনাকে নির্দিষ্ট সময় পর পর এর কিস্তিটি পরিশোধ করতে হবে বা টাকা পরিশোধ করতে হবে। এর সুবিধা হচ্ছে আপনি অনেক দীর্ঘদিন ধরে এই টাকা পরিশোধ করতে পারবেন। কিস্তিতে পন্য কিনতে হলে, আপনি যেই কোম্পানি থেকে পন্যটি কিনবেন সেই কোম্পানির নিয়ম অনুসারে আপনাকে একটি অ্যাকাউন্ট করে দেয়া হবে। যাতে আপনি সহজে আপনার কিস্তি পরিশোধ করতে পারেন। আপনার টাকা সম্পূর্ণ পরিশোধ করা হয়ে গেলে আপনার অ্যাকাউন্ট স্থায়ীভাবে বন্ধ করে দেয়া হবে।
উদাহরণস্বরূপ, যদি আপনার একটি কিস্তি বছর ভিত্তিক হয় তাহলে আপনাকে মাসিক কিস্তি পরিশোধ করতে হতে পারে। অনেক সময় কিস্তিতে একটি নির্দিষ্ট সুদের হার থাকে। যা আপনার কিস্তির সাথে পরিশোধ করতে হবে।
কিস্তিতে স্মার্টফোন কেনার নিয়ম:
কিস্তিতে মোবাইল কেনার আগে আপনাকে দিতে হবে ডাউনপেমেন্ট। ডাউন পেমেন্টটি হল আপনি যে স্মার্টফোনটি কিনতে চাইছেন ধরুন তার মূল্য কুড়ি হাজার টাকা এবার আপনাকে সেই কোম্পানির নিয়ম অনুযায়ী স্মার্টফোনটির মূল দামের ২০%-৬০% আগে দিয়ে দিতে হবে। এবং বাকি টাকা আপনি কিস্তিতে দিতে পারবেন।
এখন, আপনার ক্রয় করা মোবাইলের দাম যদি ১০ হাজার টাকা হয় তাহলে ২ হাজার টাকা থেকে ৬ হাজার টাকা পর্যন্ত টাকা প্রথমেই আপনাকে দিতে হবে।
কিস্তিতে স্মার্টফোন কিনতে যা যা প্রয়োজন:
জন্ম সার্টিফিকেট,আধার কার্ড, ভোটার কার্ড।
কিস্তিতে মোবাইল কেনার ক্ষেত্রে কিছু ডকুমেন্ট যেগুলো আপনার অবশ্যই লাগবে যেমন আপনার জন্ম সার্টিফিকেট আধার কার্ড ও ভোটার কার্ড এর জেরক্স কপি।
এরপর প্রয়োজন একজন সাক্ষীর যে আপনাকে গ্যারান্টি দিয়ে যে সাক্ষী বা গ্যারান্টর থাকবে তার জাতীয় পরিচয় পত্র এর ফটোকপি দরকার হবে কিস্তিতে স্মার্ট ফোন কেনার জন্য।
এরপর আপনি অর্থাৎ, যে ব্যক্তি মোবাইল কিনবে তার এবং যিনি সাক্ষী থাকবে দুজনেরই দুই কপি পাসপোর্ট সাইজের ছবি দিতে হবে। ছবি ক্ষেত্রে এটি সদ্য তোলা হতে হবে এবং স্বাভাবিক ছবি হতে হবে।
আপনার অর্থাৎ, ক্রেতার পক্ষ হয়ে যে বা যারা গ্যারান্টর থাকবে তাদেরকে অবশ্যই আয় ইনকাম এবং বিশ্বাসের যোগ্য ব্যক্তি হতে হবে।
এরপর গুরুত্বপূর্ণ পার্ট, আপনি যে কোম্পানি বা প্রতিষ্ঠান থেকে যে ফর্ম দেওয়া হবে সেই ফর্ম পূরণ করবেন সকল সঠিক তথ্য দিয়ে। এক্ষেত্রে আপনার উপরের ডকুমেন্ট দিলে প্রতিষ্ঠান বা শো-রুম থেকেই ফর্মটি আপনাকে সামনে রেখে পূরণ করে দিয়ে থাকে।
এতক্ষণ তো জানা গেলো লোকাল ভাবে দোকানে কিস্তিতে স্মার্টফোন কেনার জন্য কি কি ডকুমেন্ট লাগবে।
এবার জেনে নেওয়া যাক কিভাবে অনলাইনে কিস্তিতে মোবাইল কিনে হয় অর্থাৎ, অনলাইনে কিস্তিতে স্মার্ট ফোন কেনার জন্য কি কি প্রয়োজন।
অনলাইনে কিস্তিতে মোবাইল ফোন কেনার নিয়ম।
আপনি যদি অনলাইনে কিস্তিতে আপনার মোবাইল ফোন কিনতে চান, তাহলে আপনাকে বিভিন্ন জনপ্রিয় এবং নির্ভরযোগ্য ই-কমার্স ওয়েবসাইট পরিদর্শন করতে হবে তাদের প্রকার এবং ইনস্টলেশন শর্তাবলী সম্পর্কে জানতে হবে । যেমন ফ্লিপকার্ট ও অ্যামাজন থেকে আপনি কিস্তিতে স্মার্টফোন কিনতে পারবেন। এছাড়াও আপনি আরো অনেক অনলাইন স্টোর,যেমন জিও স্টোর থেকেও কিস্তিতে স্মার্টফোন কিনতে পারেন । এই ওয়েবসাইটগুলি আপনাকে অনলাইনে ইনস্টলেশনে মোবাইল ফোন কেনার অনুমতি দেয়৷
অনলাইনে স্মার্টফোন কেনার জন্য কি কি প্রয়োজন:
Amazone,Flipkart এ কিস্তিতে মোবাইল ফোন কিনতে প্রয়োজন হয় ব্যাংকের ডেবিট/ ক্রেডিট কার্ড।
বেশির ভাগ স্মার্টফোন কোম্পানি গুলো ক্রেডিট কার্ড এর উপরে কিস্তি দিয়ে থাকে।আর কোনো কোনো সময় ডেবিট কার্ড অর্থাৎ এটিএম কার্ড এর মাধ্যমেও কিস্তিতে ফোন কিনা হয়ে থাকে।
Amazone,Flipkart এ কিস্তিতে মোবাইল কিনার জন্য আপনাকে প্রথমে বেশি ডাউনপেমেন্ট দিতে হয় না।
কিস্তিতে স্মার্টফোন কেনার সুবিধা।
কিস্তিতে একটি মোবাইল ফোন কেনার মাধ্যমে, আমরা অনেক রকম সুবিধা পেয়ে থাকি। যেমন
কিস্তিতে মোবাইল ফোন কিনতে আপনাকে পুরোপুরি টাকাটা একবারে দিতে হচ্ছে না।
সর্বাধিক ইনস্টলেশন 36 মাস পর্যন্ত সময়ের মধ্যে প্রদান করা যেতে পারে।
কিস্তিতে স্মার্টফোন কেনার অসুবিধা।
আমরা আলোচনা করলাম কিস্তিতে স্মার্টফোন কিনলে কি কি সুবিধা পেতে পারেন এবার দেখব কিস্তিতে মোবাইল ফোন কিনতে কি কি সমস্যা হতে পারে।
সম্পূর্ণ অর্থ প্রদান না হওয়া পর্যন্ত মোবাইল নথি পাওয়া যায় না।
যদি আপনার সেল ফোনটি ভেঙ্গে যায় তবে আপনাকে মেরামতের জন্য নিজেকে অর্থ প্রদান করতে হবে।
কিস্তিতে ফোন কেনার সময় এটা দেখা যায় আপনি কিস্তিতে কিনলেন সেটির নগদে কিনলে তার চেয়ে কম দামের মধ্যে পেয়ে যেতেন।
আপনি সময়মতো কিস্তি পরিশোধ না করলে আপনার ফাইন লাগতে পারে। আপনার ফোনটি অফ করে দেওয়া হতে পারে।