স্মার্টফোন আমরা সকলে মোটামুটি ব্যবহার করি।কারো কারো আবার স্মার্টফোন ছাড়া একমুহূর্তও চলে না। বিনোদন হোক কিংবা গুরুত্বপূর্ণ কাজ, সবকিছুর জন্য স্মার্টফোনে একটা ক্লিক যথেষ্ট। নিজের পার্সোনাল জিনিস থেকে শুরু করে ব্যাংকের তথ্য সমস্ত কিছুই এই স্মার্টফোনে থাকে। এই কারণে স্মার্টফোনের উপর দৃষ্টি থাকে হ্যাকারদের। একটু এদিক ওদিক হলেই সব তথ্য চলে যেতে পারে হ্যাকারদের হাতে। তাই সাবধান। আজকের এই লেখাতে আপনাকে জানাবো কিভাবে হ্যাকারদের হাত থেকে আপনার স্মার্টফোনটিকে সুরক্ষিত রাখবেন।
বর্তমানে হ্যাকাররা আপনার স্মার্টফোনের উপর ওত পেতে থাকে, সুযোগ পেলেই আপনার স্মার্টফোনটিকে হ্যাক করে নেবে।এর থেকে বাঁচার উপায় কী? স্মার্টফোনের তথ্য সুরক্ষিত রাখার জন্য কী করতে হবে? এসবেরও উপায় বাতলে দিয়েছে এনএসএ। একটি রিপোর্টে তারা বলেছে, সপ্তাহে অন্তত একবার ফোন কিছুক্ষণের জন্য বন্ধ রেখে তারপর চালু করতে হবে। শুনতে অবাক লাগলেও এটা অনেক কাজে আসে। এছাড়াও বেশ কিছু পরামর্শ দিয়েছে তারা।
১.ফোন আপডেট রাখতে হবে:
নয়া সিকিউরিটি প্যাচের জন্য বিভিন্ন অ্যাপ এবং ফোনের অপারেটিং সিস্টেম নিয়মিত আপডেট করতে হবে। এতে আপনার ফোনটি আপডেটেড থাকবে এবং হ্যাকাররা সহজে ফোনটিকে হ্যাক করতে পারবে না। তাই সব সময় আপনার ফোনে লেটেস্ট অ্যাপস ভার্সন ও সব সময় ফোন আপডেট করে রাখুন।
২.সুরক্ষিত জায়গা থেকে অ্যাপ ইনস্টল:
আমরা অনেক সময় বিভিন্ন অ্যাপসের পেইড ভার্সন না নিয়ে সেই অ্যাপসের ফ্রী ভার্সন প্লে স্টোর বা অ্যাপ স্টোর বাদ দিয়ে অন্য কোন অসুরক্ষিত সাইট থেকে ডাউনলোড করে থাকি। যার ফলে ফোনটিতে হ্যাকারদের ম্যালওয়্যার চলে আসার সম্ভাবনা থাকে। তাই ম্যালওয়্যার এড়াতে শুধুমাত্র অ্যাপল বা গুগল প্লে স্টোরের মতো সুরক্ষিত জায়গা থেকেই অ্যাপ ইনস্টল করা উচিত।
৩.লিঙ্ক থেকে সাবধান:
অনেক সময় অজানা নম্বর থেকে মেসেজ বা মেল আসে। তাতে লিঙ্ক থাকে। সেই সব লিঙ্কে ক্লিক করতে প্ররোচিত করা হয়। কিন্তু এই ধরণের লিঙ্ক থেকে সাবধান। ক্লিক করলেই সর্বনাশ হতে পারে। কখনোই কোন অজানা নাম্বার থেকে আসার লিংকে ক্লিক করবেন না।
৪.পাবলিক ওয়াইফাই ব্যবহার নয়:
আমরা ফ্রিতে ওয়াইফাই পেলে কে না নিতে ভালোবাসি। কোন পাবলিক প্লেসে ফ্রিতে ওয়াইফাই দেখলে আমরা লুফে নেওয়ার চেষ্টা করি। কিন্তু এটাই হ্যাকারদের চাল হতে পারে। কেননা পাবলিক ওয়াইফাই নেটওয়ার্ক খুব সহজে হ্যাক হওয়ার সম্ভাবনা থাকে। খুব প্রয়োজন পড়লে ভিপিএন ব্যবহারের পরামর্শ দেওয়া হয়।
৫.ব্লুটুথ বন্ধ রাখতে হবে:
ব্যবহার না করলে ব্লুটুথ বন্ধ রাখতে হবে। যাতে কোনও অজানা ডিভাইস ফোনের সঙ্গে কানেক্ট করতে না পারে।
৬.ফোনের পাসওয়ার্ড:
আপনার ফোনটিকে সুরক্ষিত রাখতে কঠিন পাসওয়ার্ড দিন।কমপক্ষে ৬ সংখ্যার পাসওয়ার্ড ব্যবহার করুন। যাতে আপনার ফোনটা যদি হারিয়েও যায় তাহলে কোন খারাপ মানুষের হাতে সেটা পড়লেও যেন সে কোন ক্ষতি না করতে পারে। কঠিন পাসওয়ার্ড এর সঙ্গে ফেসলক বা ফিঙ্গারপ্রিন্টের মতো ফিচার ব্যবহার করতে পারেন।
৭.সঠিক চার্জার:
ফোনে সঠিক চার্জার ব্যবহার করাও জরুরি। ব্র্যান্ডের সঙ্গে যে চার্জার দেওয়া হয়েছে সেটাই ব্যবহার করতে হবে। সর্বজনীন ইউএসবি চার্জিং স্টেশন এড়িয়ে যাওয়াই ভাল। ফোনে যেন অন্য কোনও চার্জার ব্যবহার করা না হয়, সেটা নিশ্চিত করতে হবে। পাবলিক প্লেসে কখনোই চার্জ করবেন না অন্য কারো ডাটা টেবিলে।
৮.লোকেশন সার্ভিস:
প্রয়োজন না থাকলে লোকেশন সার্ভিস বন্ধ রাখাই উচিত। গোপনীয়তা বজায় রাখার জন্য এটা জরুরি।
এই সমস্ত জিনিসগুলো যদি আপনি মেনে চলেন তাহলে হ্যাকাররা সহজে আপনার ফোনটিকে হ্যাক করতে পারবেন না তাই সর্বদাই ফোন ব্যবহার করার ক্ষেত্রে সতর্ক থাকুন। না হলে আপনার একটু ভুলের জন্য আপনার বড় ক্ষতি হয়ে যেতে পারে।