বর্তমান সময়ে মোটামুটি আমাদের সকলের কাছেই স্মার্টফোন থাকে।কেও একটা ফোন অনেক দিন ধরে ব্যবহার করে কেও বছর বছর ফোন কিনে।কিন্তু আমাদের সবার কাছেই আমাদের স্মার্টফোন জীবনের খুব গুরুত্বপূর্ন অংশ হয়ে দাঁড়িয়েছে। আর নতুন স্মার্টফোন কেনা নিঃসন্দেহে সবার জীবনের আনন্দদায়ক একটি মুহুর্ত। আর নতুন ফোন কেনার পরে আমরা এতটাই উচ্ছসিত থাকি যে নতুন ফোন কেনার পরে কিছু গুরুতবপূর্ণ জিনিস থাকে যেগুলো আমরা মিস করে যায়।বা আমাদের মধ্যে অনেকেই জানি না যে,নতুন স্মার্টফোন কেনার পরে সর্বপ্রথম কি কি জিনিষ করণীয়। নতুন ফোন কেনার পর করণীয় কিছু বিষয় রয়েছে যা ফোন ব্যবহারের অভিজ্ঞতাকে উন্নত করবে। স্মার্টফোন আমাদের নিত্যসঙ্গী। এক মুহূর্ত স্মার্টফোন ছাড়া কল্পনা করা যায় না। কারও সঙ্গে যোগাযোগ, সোশ্যাল মিডিয়ায় অ্যাকটিভ থাকা, বই পড়া, অনলাইন মিটিং, বন্ধুদের সঙ্গে আড্ডা গেম খেলা ফটো তোলা সব কিছুর জন্যই দরকার স্মার্টফোন। তাই স্মার্টফোনের ব্যাপারে একটু বাড়তি সতর্ক থাকা প্রয়োজন।
আজকের লেখাতে থাকলো নতুন স্মার্টফোন কেনার পর কি কি জিনিস করণীয়।
১.ফোন টিকে প্রোটেক্ট করুন।
নতুন ফোন কেনার পর আমরা সর্বপ্রথম যে কাজটি করবো, ফোনে স্ক্রীন প্রটেক্টর লাগিয়ে নেবো তার পর ফোনটিকে ব্যবহার করবো।কেনোনা নতুন ফোন আমাদের সকলের প্রিয় জিনিস আর সেটি যদি আপনার হাত থেকে পড়ে যায় ,আর ফোনে স্ক্রীন প্রটেক্টর না থাকায় ফোনের ডিসপ্লে টি ভেঙ্গে যায় তাহলে ব্যাপার টা চরম দুঃখের হবে। তাই সর্বপ্রথম নতুন ফোন কিনে সেটিতে স্ক্রিন প্রটেক্টর লাগিয়ে নিন।
২.একটি ভালো কভার কিনে নিন।
নতুন ফোন কিনে অনেক সময় এরকম হয় যে আমরা ফোনটিতে কভার ব্যবহার করতে চাই না। নতুন ফোনের শো অফ করতে গিয়ে আমরা ফোনে কভার ব্যবহার করি না।আর কোনো কারণে ফোন টি হাত থেকে পড়ে গেলেও ঘটে যায় বিপদ। তাই নতুন ফোন কেনার পর অবশ্যই একটি ভালো ফোন কভার ও কিনে নিন এবং ব্যবহার করুন।
৩.নতুন ফোন কেনার পরে আমরা অনেকে ফোন টিকে চার্জে লাগিয়ে দিই, কিন্তু সেটি করা ঠিক নয়। প্রথমে ফোনে আপনি দেখুন কতটা চার্জ আছে ,আগে চার্জ টিকে পুরোপুরি শেষ করুন।তারপরে একবার চার্জ শেষ হয়ে গেলে আপনি পুরো ১০০% চার্জ করে নেবেন। তারপর আপনি ফোন টিকে ব্যবহার করতে পারেন।তবে এর পর চেষ্টা করবেন বার বার ১০০% চার্জ না করতে।চার্জ সব সময় ৮০% করবেন আর ব্যাটারি এর চার্জ ২০% এর নিচে যেতে দিবেন না।এতে আপনার ফোনের ব্যাটারি ভালো থাকে।
৪. জি-মেইল লগ ইন করুন।
স্মার্টফোন কেনার পর প্রথমেই তাতে আপনার জি-মেইল অ্যাকাউন্টটি লগইন করুন। যার সাহায্যে সব পরিষেবা অ্যাক্সেস করতে পারবেন। অন্য কারও সঙ্গে জি-মেইল পাসওয়ার্ড অন্যদের সঙ্গে শেয়ার করবেন না। কারণ এর সাহায্যে নিজেদের ফোন সম্পর্কিত অনেক ডেটা অ্যাক্সেস করা যেতে পারে। আপনার যদি আগে থেকে জিমেইল অ্যাকাউন্ট বানানো না থাকে তাহলে আপনি খুবই সহজে নতুন একটি জিমেইল অ্যাকাউন্ট বানিয়ে নিতে পারেন।
৫. ব্যাকআপ করুন।
একবার জিমেইল আইডি সেট আপ করা হয়ে গেলে তারপর আপনি আপনার পুরনো ফোন থেকে সমস্ত কন্টাক্ট ডিটেলস এবং আরও অনেক কিছু ব্যাকআপ করে নিন। পুরোনো ফোন থেকে ডেটা ট্রান্সফারের সময় সতর্ক থাকুন। কোনো অচেনা ব্যক্তির মেইল বা মেসেজে আসা লিঙ্ক ভুলেও ক্লিক করবেন না। আর আপনি যদি আগে কোন ফোন ব্যবহার না করেন এটিই আপনার প্রথম ফোন হয় তাহলে এই ক্ষেত্রে আপনার জন্য এটি প্রযোজ্য নয়।
৬.ব্যাংক এর তথ্য আরো সুরক্ষিত করুন।
ব্যাংকের তথ্য যুক্ত করার সময় নতুন পাসওয়ার্ড সেট করে নিন। ফোনে আসা ওটিপি এবং পাসওয়ার্ড কারও সঙ্গে শেয়ার করবেন না। তবে যতক্ষণ না নতুন স্মার্টফোনের সব ফিচার ভালো করে জানতে না পারেন, ততক্ষণ এটিতে ব্যাঙ্কিং পরিষেবা ব্যবহার করা উচিত নয়।
৭.ফোন লক সেট করুন।
ফোনের লক সেট করুন। গুরুত্বপূর্ণ অ্যাপগুলোতে লক সেট করুন। চাইলে পিন বা প্যাটার্ন ব্যবহার করতে পারেন। এবং এগুলো কোথাও লিখে রাখতে যাবেন না। যে কারও হাতে পড়তে পারে। যাতে আপনার ফোনটি যদি হারিয়ে যায় বা চুরি হয়ে যায় তার তারপর যেন কোন অসাধু ব্যক্তি সেটি ব্যবহার করতে না পারে, তার জন্য লক রাখা ফোনে খুবই জরুরি।
৮.অ্যাপস ইন্সটল করার ক্ষেত্রে সতর্কতা।
শুধুমাত্র প্লে স্টোর থেকে যে কোনো অ্যাপ ডাউনলোড করা উচিত। একই সময়ে শুধু গান বা ভিডিও ডাউনলোড করতে অফিসিয়াল ওয়েবসাইট ব্যবহার করা উচিত। মনে রাখবেন প্লে স্টোর ছাড়া অন্য কোন জায়গা থেকে অ্যাপ ইন্সটল না করাটাই ভালো সেই ক্ষেত্রে আপনার ফোনের সুরক্ষার ক্ষতি হতে পারে।