বর্তমানে অনেকেই এমন আছেন, যারা স্মার্টফোন ছাড়া এক মুহূর্তও ভাবতে পারেন না। আর বর্তমান সময়ে একজন মানুষ একটা ফোন বেশি দিন ব্যবহার করতেও চাই না। আর বছর ঘুরতে না ঘুরতেই নতুন ফোন কেনার হিড়িক লেগে যায় মানুষের মধ্যে। এখন বাজারে অনেক দামের অনেক ফিচারের স্মার্টফোন রয়েছে। অর্থাৎ আপনি যে বাজেটেই ফোন কেনার কথা ভাবছেন না কেন, একটি কোম্পানির স্মার্টফোনে আপনি এই রেঞ্জে অনেক অপশন পাবেন।
তবে এখন আপনার প্রয়োজন মত আপনাকে বেছে নিতে হবে স্মার্টফোন , না হলে স্মার্টফোন কেনার পরে আপনাকে পস্তাতে হবে।
তবে কোন ফোনটি আপনার কেনা উচিত, তা ঠিক করবেন কীভাবে। এখানে আপনার জন্য মোবাইল কেনার কিছু গুরুত্বপূর্ণ টিপস রয়লো । এই টিপসগুলি (Tips) আপনাকে সঠিক স্মার্টফোন বেছে নিতে এবং কিনতে অনেক সাহায্য করবে।
১.বাজেট ঠিক করুন।
একটি নতুন স্মার্টফোন কেনার আগে, এটির জন্য সঠিক বাজেট ঠিক করতে ভুলবেন না। এটি আপনার অর্ধেক সমস্যার সমাধান করে। আপনি আপনার প্রয়োজন অনুযায়ী ফোনের বাজেট নির্ধারণ করুন। আপনি দেখে নিন কোন বাজেটের ফোন আপনার প্রয়োজন অনুযায়ী নেওয়া ঠিক হবে।বর্তমান সময়ে কম বাজেট থেকে শুরু করে হাই বাজেটের মধ্যে অনেক ফোনের অপসন পেয়ে যাবেন।তাই সর্বপ্রথম আপনি আপনার ফোন কেনার বাজেট ঠিক করুন।আপনি যদি শুধু মাত্র নরমাল কাজের জন্য ফোন ব্যবহার করেন তাহলে আপনি কম বাজেটের ফোন নিতে পারেন অন্যদিকে, আপনার যদি ফটোগ্রাফি এবং গেমিংয়ের প্রতি শখ থাকে তবে আপনি বাজেট বাড়াতে পারেন।
২.এন্ড্রয়েড নাকি আইওএস।
বাজেট ঠিক করার পর আর একটা জিনিষ আপনাকে ঠিক করতে হবে,সেটি হলো আপনি এন্ড্রয়েড ফোন কিনবেন নাকি আইওএস। যদি আপনি নতুন এন্ড্রয়েড ফোন নেবার কথা ভাবেন তাহলে আপনাকে দেখতে হবে এখন লেটেস্ট কোন এন্ড্রয়েড ভার্সন চলছে।ধরুন এখন চলছে এন্ড্রয়েড ১৪ আপনাকে তাহলে চেষ্টা করতে হবে এন্ড্রয়েড ১৪ যুক্ত স্মার্টফোন কেনার,১৪ না হলে এন্ড্রয়েড ১৩ তার চেয়ে বেশি পুরনো এন্ড্রয়েড ভার্সন যুক্ত ফোন না কেনাই ভালো।
অপরদিকে ios অর্থাৎ Apple এর ফোন কেনার সময় আপনাকে লেটেস্ট ios যুক্ত ফোন কেনার দিকে লক্ষ্য রাখতে হবে।
একটা কথা মাথায় রাখতে হবে আপনি এন্ড্রয়েড ফোন কিনুন বা আপেল আইফোন ফোন টি যেন লেটেস্ট ভার্সন হয় তাহলে আপনি অনেক দিন যাবত সিকিউরি আপডেট পাবেন।যদিও এন্ড্রয়েড এর তুলনায় ios আপডেট দেওয়ার ক্ষেত্রে অনেক এগিয়ে।
৩.ফোনের প্রসেসর দেখে নিন।
নতুন ফোন কেনার ক্ষেত্রে একটি সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ জিনিস যেটি চেক করতে হবে সেটি হল ফোনের প্রসেসর।
বর্তমান সময়ে ফোনে কেও গেমিং করতে পছন্দ করে কেওবা ফটোগ্রাফি এসব পছন্দ করে তার জন্য ফোনে প্রফেসরটি ভালো হওয়া প্রয়োজন। এখন বর্তমান সময়ে আপনি কম বাজেটের মধ্যেও ভালো প্রসেসরযুক্ত ফোন পেয়ে যাবেন । আবার এরকম পাবেন যেখানে অনেক বেশি দামের ফোন কিন্তু প্রসেসর বেশি শক্তিশালী থাকে না। তাই আপনাকে এদিকে লক্ষ্য রাখতে হবে এবং আপনার প্রয়োজন ও বাজেট অনুযায়ী সেরা প্রসেসযুক্ত ফোন বেছে নিতে হবে।
৪.৫ জি কি না দেখে নিন।
বর্তমান সময়টা হচ্ছে 5G এর যুগ আর আপনি যদি এখন ভাবেন যে কি নতুন স্মার্টফোন নেবেন তাহলে অবশ্যই আপনি এখন একটি 5g স্মার্টফোনের দিকেই যাবেন ,কেননা 4G স্মার্টফোন নতুন ফোরজি স্মার্টফোন নেওয়ার এখন অনেকটাই আউটডেটেড হয়ে গেছে।
ভালো নেটওয়ার্ক কল কোয়ালিটি এবং ইন্টারনেট স্পিড ভালো পাওয়ার জন্য অবশ্যই আপনি এখন 5G স্মার্ট ফোন নিন।
তবে আপনার বাজেট যদি খুবই কম হয় এবং সেই বাজেটের ৫জি স্মার্টফোন যদি না আসে তাহলে আপনি ফোরজি স্মার্টফোন নিতে পারেন। কিন্তু বর্তমান সময়ে ১০ হাজার টাকার নিচেও অনেক ব্র্যান্ড তাদের ৫জি স্মার্টফোন নিয়ে আসছে।
৫.ক্যামেরা
ধরুন আপনার ফটোগ্রাফি করার শখ এবং আপনি সেই সখের বশীভূত হয়ে একটি স্মার্ট ফোন কিনতে চান এবং সেই স্মার্টফোনটিতে আপনি ফটোগ্রাফি করতে চান। কিন্তু মার্কেটে এখন অনেক রকমের স্মার্ট ফোন পেয়ে যাবেন যেগুলোকে ক্যামেরা ভালো, তবে তার মধ্যে আপনার জন্য কোনটি বেস্ট ক্যামেরা স্মার্টফোন সেটি কিভাবে আপনি বুঝবেন। বর্তমান সময়ে স্মার্টফোন ব্র্যান্ডগুলো মেগাপিক্সেলের খেলাতে মেতে উঠেছে। ওই যেমন ধরেন কে কত মেগাপিক্সেলের ক্যামেরা দিতে পারে কেউ 100 মেগাপিক্সেল কেউ ২০০ মেগাপিক্সেল
কিন্তু মনে রাখতে হবে ফোনের ক্যামেরা কোয়ালিটি মেগাপিক্সেল এর ওপরে নির্ভর করে না সেটি নির্ভর করে ক্যামেরার মধ্যে থাকা সেন্সরের উপর। যখনই আপনি একটি ভাল ক্যামেরা স্মার্টফোন নেবেন তখন মেগাপিক্সেলের পেছনের না গিয়ে আপনি দেখে নেবেন যে সেটিতে কোন ভালো সেন্সর আছে কিনা। Samsung এবং sony ক্যামেরা সেন্সর বানিয়ে থাকে এছাড়াও অন্যান্য অনেক কোম্পানি থাকে যারা ক্যামেরা সেলফি দিয়ে থাকে তবে আপনি সবসময় চনি বা স্যামসাং যুক্ত ক্যামেরায় নেবেন ভালো ফটো কোয়ালিটির জন্য।
৬.ব্যাটারি
স্মার্টফোনের ক্ষেত্রে আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ দিক যেটি দেখে নিতে হবে সেটি হল ফোনের ব্যাটারি ব্যাকআপ কি রকম। দেখা যাচ্ছে আপনি একটি গেমিং স্মার্টফোন নিচ্ছেন বা আপনি ক্যামেরা ভালো স্মার্টফোন নিচ্ছেন কিন্তু সেটি দিয়ে আপনি যখন গেমিং করতে যাচ্ছেন বা ক্যামেরা দিয়ে আপনি ফটোগ্রাফি বা ভিডিওগ্রাফি করতে যাচ্ছেন দেখুন খুব তাড়াতাড়ি ফোনের ব্যাটারি শেষ হয়ে যাচ্ছে সেটা কিন্তু ভালো হবে না। তাই সবসময় ফোনের ব্যাটারি কিরকম কত এমএইচ ব্যাটারি ফোনে আছে সেটি দেখে নিতে হবে।
এই সমস্ত কিছু দেখা হয়ে গেলে এবার আপনি আপনার প্রয়োজন মত ফোন নিতে পারেন।